রোজ স্নানের সময় ঝরে পড়ছে চুল অথবা আঁচড়ালেই উঠছে গোছা গোছা চুল। চুল পড়া (hair fall treatment) নিয়ে শুধু চিন্তা না দুশ্চিন্তায় ভুগছেন অনেকেই। দেখে নিশ্চয়ই মনে মনে ভাবেছেন যে, এ বার টাক পড়ল বলে কথা! রক্ষে নেই, আর কেউ বাঁচাতে পারবে না। প্রতিদিন ১০০-১৫০ টা চুল পড়া স্বাভাবিক কিন্তু তার থেকে বেশি হলেই মুস্কিল এবং চিন্তার বিষয়। এবং চুল পড়ছে (best hair fall treatment in Bengali) এই চিন্তা মাথায় ঢুকলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আসলে যে কোনও স্ট্রেস বা চিন্তার থেকেই চুল উঠতে পারে। আজকের বর্তমান যুগের লাইফস্টাইল, জাঙ্ক ফুড সবই রয়েছে চুল ওঠার পেছনে এক লম্বা হাত। আরও পড়ুন: চোখ ওঠা থেকে রক্ষা পাবেন কিভাবে (Eye Redness Treatment)
এই জন্যই ছেলেদের এখন ২০-২৫ বছরেই মাথা ফাঁকা (hair fall treatment in Bengali) হতে শুরু করে। আগে যেটা দেখা যেত চল্লিশ বছরেরও পরে! শুধু ছেলেরাই নয় মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঠিক একই সমস্যা দেখা যায়। পিরিয়ডের সমস্যা থাকলেও কিন্তু মেয়েদের চুল উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে সবার আগে দরকার পিরিয়ডের সমস্যা মেটানো। মাঝে মাঝে তো ডিপ্রেশন এ চলে যান অনেকেই আর ভাবেন, কী করবেন? এ জন্য শুধু ঘরোয়া টোটকা (hair fall treatment) ব্যবহার করলেই চলে না! ঘরোয়া টোটকা (hair loss treatment at home in Bengali) শুধু না সঠিক খাওয়া-দাওয়া এবং এক্সারসাইজ দরকার। আরও পড়ুন: ব্রন থেকে রেহায় পান এক নিমেষেই (Pimple Treatment)
জেনে নেব চুল পড়ার কারন ও তার প্রতিকার বা ঘরোয়া কিছু টিপস যা টাক পড়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। সাথে এই পোস্টেই থাকছে চুল পড়া রোধ করার এক মহৌষধ যা সকলের কাজে লাগবেই ১০০ শতাংশ। তাই পুরো পোস্ট টি পড়ুন ভালো ভাবে।
চুল পড়ার কারন কী (Cause of hair fall)?
চুল কিন্তু এমনি এমনি পড়ে যায় না। এর পিছনে অজস্র কারণ এক সাথে কাজ করে। আসুন তাহলে জেনে নিই চুল পড়ার কারন গুলো কি কি-
- বর্তমান যুগের লাইফস্টাইল, সাথে অত্যাধিক জাঙ্ক ফুড খাওয়া।
- শরীরের ভিটামিন ও প্রোটিনের অভাব (hair fall treatment in Bengali) ।
- চারপাশে অত্যাধিক পরিবেশ ও জল দূষণ (hair loss treatment in Bengali) ।
- পিরিয়ডের সমস্যা জনিত কারনে।
- বাচ্চা প্রসব করার পর (hair fall problem in Bengali) ।
- অত্যাধিক জ্বরে ভোগার পর। আরও পড়ুন: যে কোন এলার্জি কে প্রতিরোধ করবেন কিভাবে (Allergy Treatment)
- অত্যাধিক খুশকি থেকে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে চুল উঠতে পারে।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা স্ট্রেস থেকেও চুল পড়তে পারে।
- অত্যাধিক হস্তমৈথূন (Masturbation) করা (hair fall treatment in Bengali) ।
- রক্তে হিমোগ্লোবিন আর ফেরিটিনের মাত্রা কমে গেলেও চুল ঝরে পড়ে।
- থাইরয়েডের হরমোন সমস্যার থেকেও চুল উঠতে পারে। চুলের বৃদ্ধির হারও হ্রাস পায়।
- হজমের সমস্যা থেকেও চুল ঝরে পড়ে (hair fall treatment in Bengali) । হজমের সমস্যার কারনে পাকস্থলীর ক্যান্সারও হতে পারে।
- অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যাবহারের ফলেও চুল ঝরে পড়ে (hair fall problem in Bengali) । তাই ন্যাচারাল কোনও শ্যাম্পু অথবা মৃদু বা বেবি শ্যাম্পু ব্যাবহার করতে পারেন।
- বার্থ কন্ট্রোল পিলস এর ব্যাবহার (hair loss treatment in Bengali) । আপনি কি বার্থ কন্ট্রোল পিল বা ঔষধ ব্যাবহার করেন। তা হলে কিন্তু সাবধান ও সতর্ক থাকুন! কারণ এটাও চুল পড়ার জন্য একটা বড় কারণ। আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মেদ বা ওজন কমান বাড়িতেই (Weight loss solution)
- যে সব মহিলার polycystic ovarian syndrome (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম) রয়েছে, তাঁদের হরমোনাল সমস্যা হয়। যার ফলে মুখে আর শরীরে অত্যাধিক লোম দেখা যায়। তবে মাথার চুল পাতলা হয়ে যেতে থাকে ও চুল পড়তে থাকে।
- পুষ্টিজনিত কারণ বা পুষ্টির অভাব (hair fall treatment at home in Bengali) ।
- অত্যাধিক হেয়ার স্টাইলিং জিনিস ব্যাবহার করার কারনে। ইত্যাদি বিভিন্ন কারনেই চুল ঝরে যেতে পারে।
চুল পড়া আটকাতে কিছু জিনিষ অবশ্যই মেনে চলুন (hair fall treatment in Bengali):
- ভেজা চুল ভুলেও আঁচড়াবেন না। কারন ভিজে চুলে, চুলের গোড়া নরম ও দূর্বল থাকে। তাই ভিজে চুল ভালো ভাবে শুকিয়ে নিন নাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- রেগুলার ট্রিমিং বা চুল কাটুন নিয়মিত ভাবে (hair loss treatment in Bengali) । চুলের যে অংশ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত থাকে, সেটা হল চুলের ডগার দিকে। তাই কয়েক সপ্তাহ অন্তর নিয়ম করে চুল কাটুন বা ট্রিম করাতে থাকুন। তাতে চুল বাড়বেও আর স্প্লিট এন্ডস এর সমস্যাও থাকবে না। আরও পড়ুন: বাড়ির বয়স্কদের গাঁটের ব্যাথা থেকে কিভাবে সুস্থ রাখবেন (Arthritis Treatment)
- বাচ্চা হওয়ার পর বেশির ভাগ মেয়েদের চুল পড়ে (hair fall problem in Bengali) । এক্ষেত্রে চুল পড়তে থাকলে প্রোটিন ( ডাল, সয়াবিন, ছানা) ফল, শাক-সব্জি, চুনোমাছ বেশি করে খেতে হবে।
- স্ট্রেস বা মানসিক চিন্তা কে কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া চলবে না। নজর রাখুন অত্যাধিক চিন্তার কবলে যেন না পড়েন (hair fall treatment in Bengali) । এতে শুধু চুল পড়ে যাওয়ায় নয় অনেক মারাত্বক রোগের শিকার হতে পারেন।
- অত্যাধিক ওজন যেন না বাড়ে (hair fall treatment at home in Bengali) । নিয়মিত কমবেশি এক্সারসাইজ করবেন, এতে শুধু চুল পড়ে যাওয়ায় রোধ নয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তুলে।
- চুলে কি আপনি মাঝে মধ্যেই নানা রকম কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করান? যেমন স্ট্রেটনিং, পার্মিং, কালারিং? তাহলে কিন্তু খুবই সাবধান। কারণ এ সবে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং চুল নষ্ট হওয়ার পিছনে দায়ী।
- পুষ্টি যুক্ত খাবার খান (hair loss treatment in Bengali) । পুষ্টি যুক্ত খাবার শুধু মাত্র আপনার শরীরের জন্যেই নয় বরং চুলের জন্যেও উপকারী। আরও পড়ুন: মুখের ঘা থেকেও হতে পারে ক্যান্সার (Mouth ulcer Treatment)
- গরম জলে স্নান করলে সবারই আরাম হয় ঠিকই (hair loss treatment at home in Bengali) । কিন্তু গরম জলে স্নান করলে স্কিনের মতো চুলকেও ডিহাইড্রেটেড করে দেয়। ফলে চুলের ন্যাচারাল অয়েলস নষ্ট হয়ে যায় এবং চুল ঝরে পড়ে। তাই গরম জলে স্নান করলেও অবশ্যই ঠান্ডা জলে চুল ধোয়ার চেস্টা করবেন।
- টাইট করে বা শক্তভাবে চুল বাঁধার অভ্যেস থাকলে তা কিন্তু এখনই বন্ধ করুন। কারণ টাইট করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় সব থেকে বেশি চাপ পড়ে এবং চুল উঠে যেতে সাহায্য করে। আরও পড়ুন: হাঁপানি বা অ্যাজমা থেকে কিভাবে বাঁচাবেন নিজের পরিবার কে (Asthma Treatment)
- শ্যাম্পু করা, সবার আগে যেটা খুবই ইম্পর্ট্যান্ট (hair fall treatment in Bengali) । আপনাকে নিজের স্ক্যাল্পের ধরনটা বুঝতে হবে যে তৈলাক্ত নাকি শুস্ক স্ক্যাল্প। তাই সেটা বুঝে নিয়ে একটা ভাল শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে। শ্যাম্পু সবসময় খবু ভালো ভাবে দেখে কিনবেন, যেন তাতে সালফেট, প্যারাবেন ও সিলিকনের মতো কেমিক্যালস না থাকে। এবং সপ্তাহে ৩ বার এর বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। আপনি যে শ্যাম্পুটি ব্যাবহার করছেন সেটিই নিয়মিত ব্যাবহার করবেন, বার বার পতিবর্তন করবেন না।
- নতুন কোনও ওষুধ খাওয়ার পর খুব বেশি চুল উঠলে সেই ডাক্তারকে সঙ্গে সঙ্গে জানান । প্রয়োজনে ওষুধ পরিবর্তন করতে বলুন (hair loss treatment at home in Bengali) । খুব বেশি চুল পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ লাগাতেও হবে বা খেতেও হতে পারে।
- খুস্কি থাকলে মাথায় বা চুলে খুব বেশি তেল ব্যাবহার করবেন না। প্রয়োজনে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন (hair fall treatment at home in Bengali) । ভালো মানের কন্ডিশনার আপনার চুলের গোড়াকে শক্ত ভাবে ধরে রাখবে। কারণ এর মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে ঠিক করে এবং মজবুত করতে সাহায্য করে।
চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকা বা টিপস (hair loss treatment at home in Bengali):
প্রচুর ট্রিটমেন্টস আর পার্লারে গিয়েও লাভ হয় না। এ বার চুল পড়া কম করার জন্য পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ না করে বাড়িতে বসেই চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করে দিন। নিম্নলিখিত এই টিপস গুলো মেনে চললে অবশ্যই চুল পড়া কম হবেই, তবে আপনার টাক পড়ার পর মেনে চললে হবে না। তাই সময় থাকতেই উপযুক্ত ব্যাবস্থা নিন (hair loss treatment in Bengali) ।
Read More: Uses of Amoxicillin
পিঁয়াজের রস (hair fall treatment in Bengali):
পিঁয়াজের মধ্যে যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, তা স্ক্যাল্পের (Scalp) ইনফেকশন কমাতে খুবই কাজ করে। আর পিঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিতে খুবই সাহায্য করে।
পিঁয়াজ রসের মাস্ক তৈরি করুন, এই মাস্ক বানাতে পিঁয়াজের রস বার করে নিন। তার পর ওই রসের মধ্যে তুলো ভিজিয়ে নিন, এবার স্ক্যাল্পে (Scalp) লাগাতে থাকুন। তার পর ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন যেন ভালো ভাবে শুকিয়ে যায়। এরপর হালকা মৃদু কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুলটা (Hair) ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ বার এটা ব্যবহার করুন। দেখবেন, চুলের (Hair) সমস্যা দূর হয়ে গিয়েছে ২ মাসের মধ্যেই।
নারকেল দুধ (hair loss treatment in Bengali):
নারকেল তেল তো চুলের জন্য দারুণ, এটা আমরা ছোটবেলা থেকেই সবাই জানি ও দেখেও আসছি। আর নারকেলের দুধও কিন্তু চুলের জন্য খুবই ভাল। কারণ এর মধ্যে যে প্রোটিন রয়েছে, তা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আর চুলের ঝরে (Hair fall) যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
একটা স্টেইনলেস পাত্রে নারকেল কুচি কুচি করে নিন ও পরিমান মতো জল নিন। এ বার ৫-১০ মিনিট ধরে সেটা অল্প আঁচে ভালভাবে ফুটিয়ে নিন। এ বার ঠান্ডা করে পরিস্কার পাত্রে ছেঁকে নিন। তার মধ্যে ব্ল্যাক পিপার এবং মেথি মিশিয়ে নিন পরিমান মতো। এ বার স্ক্যাল্প (Scalp) আর চুলে (Hair) ওই পেস্ট লাগিয়ে শুকনো হতে দিন। পুরোপুরি শুকনো হয়ে যাওয়ার ২০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অয়েল ম্যাসাজ (hair fall treatment at home in Bengali):
তেল তো চুলের জন্য সবসময় দারুণ কাজ করে। তাই অয়েল মাসাজ চুলকে সতেজ করে ও চুলের রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক রাখে। আর চুলের গোড়াও মজবুত করে। তাই আপনার হাতের কাছে নারকেল তেল হালকা গরম করে নিন। এবং ভালভাবে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট এর মতো। স্নান করার আগে করতেও পারেন বা ঘুমোতে যাওয়ার আগেও করতে পারেন। সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন ভালো ফল পাবেন।
Read More: Treatments of Malaria
বিটরুটের রস (hair loss treatment at home in Bengali):
বিটরুটে রয়েছে ভিটামিন-C, B-6, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো প্রতিটাই আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং মজবুতির জন্য দারুণ ভাবে কাজ করে। পাশাপাশি এটা ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে।
৭-১০ টা বিটরুট পাতা অল্প জল দিয়ে ভালো ভাবে ফুটিয়ে নিন। এ বার ১০-১২ টা হেনা পাতা নিয়ে গরম করা বিটরুট পাতার সাথে ভাল করে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্ট চুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন ১৫-২০ মিনিট। এবং পরে হালকা গরম জলে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।
অ্যালোভেরা (hair loss treatment in Bengali):
চুলের বিভিন্ন সমস্যা এবং চুল পড়ার এক মহৌষধ হলো এই অ্যালোভেরা। খুব ভালো মানের ঘরোয়া ওষুধ হল অ্যালোভেরা এবং যেটি বর্তমানে প্রায় সকল বাড়িতেই দেখা যায়। স্ক্যাল্পের চুলকানি, জ্বালা কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
অ্যালোভেরা জেলিটা বার করে নিন ভালো ভাবে, এবন সেটি একটি পরিস্কার পাত্রে রাখুন। এ বার সেটা চুলে এবং চুলের গোড়াই বা স্ক্যাল্পে লাগান। ৩০-৪৫ মিনিট সময় দিন ভালো ভাবে শুকিয়ে যেতে এবং পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এটা করলে চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই মিলবে।
গ্রিন টি (hair loss treatment at home in Bengali):
গ্রিন টি হল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এ ভরপুর। যা চুলের বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে তোলে এবং দারুনভাবে চুল পড়া কমায়। চুলের পরিমান বা লম্বা অনুযায়ী গ্রিন টি বানিয়ে ফেলুন। এটা ঠান্ডা করে নিয়ে মাথায় ঢেলে নিন এবং হালকা ভাবে হাতে করে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এক ঘণ্টা পরে ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
নিম (hair fall treatment at home in Bengali):
নিম পাতায় এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান আছে যা চুল ও স্ক্যাল্প কে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমন থেকে রক্ষা করবে। তাই কিছু কাঁচা নিম পাতা জলে ফুটিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে রস করে নিন। তার পর ঠান্ডা করে তা দিয়ে চুল আর মাথার স্ক্যাল্প ভালভাবে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এটা করলে চুল পড়া (Hair fall) অনেক বন্ধ হবে।
মেথি (hair fall problem in Bengali):
মেথি তো চুল-স্কিন সকলের জন্যই খুবই ভাল। বিশেষ করে চুল মজবুত করতে চকচকে করতে এর জুড়ি মেলা ভার। মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারারাত, পরের দিন ভালোভাবে বেটে পেস্ট বানিয়ে নিয়ে চুলে লাগিয়ে ফেলুন। শুকিয়ে যেতে অপেক্ষা করুন এবং ৩০-৪৫ মিনিট পরে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার ব্যবহার করলে ভাল ফল মিলবে।
ডিম (hair fall treatment in Bengali):
ডিমে ভিটামিন, সালফার, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, আয়োডিন, জিঙ্ক আর প্রোটিনে ভরপুর। এগুলো একসঙ্গে মিলে চুলের গঠন মজবুত করে এবং বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেয়।
চুলের পড়ে যাওয়া রুখতে ডিমের পেস্ট মাস্ক বানিয়ে ফেলুন। পেস্ট বানাতে একটা কাচের বাটিতে ডিমের সাদা অংশ, এক চা-চামচ অলিভ অয়েল আর এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ভাল করে মিশিয়ে নিন, এবং সেটি হাতে নিয়ে চুলের গোড়া থেকে ডগা ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন। শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন এবং ২০-২৫ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।
আলুর রস (hair fall problem in Bengali):
আলু ভালো করে বেটে রস বের করে নিন। এ বার তাতে ডিমের কুসুম, পরিমান মতো মধু ও পরিমান মতো জল মিশিয়ে নিন। চুলে মেখে ৩০-৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন যেন ভালোভাবে শুকিয়ে যায়। এর পর ভাল করে মাথা ধুয়ে নিন হালকা বা মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে। বেশি নয় সপ্তাহে ১ দিন করুন। দেখবেন চুল পড়া একেবারেই কমে গিয়েছে।
এছাড়া প্রচুর পরিমানে জল খান, সঠিক সময়ে ঘুমান, প্রচুর পরিমানে শাক-সব্জি খান, আমলকী, পালংশাক খান, টক দই খান, এবং প্রয়োজনে ভিটামিন-C, D, এবং E খান।
চুল পড়া বন্ধের মহৌষধ:
প্রথম পদ্ধতি:-
- ৫-৬ চামচ বা আপনার পরিমান মতো নারিকেল তেল।
- ৫টি ভিটামিন E ক্যাপসুল (Evion 400 এছাড়া অন্য কোন নামের ব্যাবহার করতেও পারেন)
- ২ চামচ Castor Oil
- ১/২ চামচ শুকনো কালো জিরার গুঁড়ো।
- ১/২ চামচ শুকনো মেথি গুঁড়ো।
- ৫-৬ চামচ অ্যালোভেরা রস বা জেলি
এগুলো সবকিছু ভালভাবে একটা পরিস্কার পাত্রে মিশিয়ে নিন। পাত্রটি অবশ্যই যেন ঢাকনা যুক্ত হয়, এবং মিশ্রন টি ২ দিন রেখে দিন ঢাকা দিয়ে। ২দিন পর মিশ্রন টি ব্যাবহার করতে শুরু করুন।
ব্যাবহার পদ্ধতি:
রাত্রিতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিশ্রন টি ভালো করে চুলের গড়ায় লাগিয়ে নিন। এবং ৮-১০ মিনিট ধরে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। এবং সকালে উঠে কোনো হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। মিশ্রন টি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যাবহার করুন অবশ্যই ১০০ শতাংশ ভালো ফল পাবেন।
দ্বিতীয় পদ্ধতি:
- ৫০০ গ্রাম/ ml নারিকেল তেল।
- ৫০ টী ভিটামিন E ক্যাপসুল। (Evion -400/600)
- মেথি গুড়ো ২০০-২৫০ গ্রাম।
- কারি-পাতা বাটা ২০০-২৫০ গ্রাম।
- ছোট লাল পেঁয়াজ (ছাঁচি পেঁয়াজ) ১-১.৫ কেজি।
একটি পরিস্কার পাত্রে কম আঁচে পেঁয়াজ গুলো ভালো করে নারকেল তেল এ সেদ্ধ করে নিন। হাল্কা সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর মেথি গুড়ো ও কারি পাতা বাটা যোগ করুন। এরপর ভালো ভাবে সমস্ত মিশ্রন কম আঁচে ৪৫-৫০ মিনিট ফুটিয়ে নিন, মাঝে মাঝে হাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন। যখন দেখবেন মিশ্রন টি ভালভাবে মিশে গেছে তখন নামিয়ে নিন, এবং ঠান্ডা হতে দিন।
হাল্কা গরম থাকাকালিন ভিটামিন ক্যাপসুল গুলো ফাটিয়ে মিশ্রনের সাথে মিশিয়ে দিন (বেশি গরম যেন না থাকে)। ৫-১০ মিনিট হাতা দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিন। ভালোভাবে ঠান্ডা হওয়ার পর ১২-১৫ ঘন্টা মিশ্রন টি ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। এরপর ছাঁকনি বা পরিস্কার কাপড়ের টুকরো দিয়ে, কাঁচের পাত্রে ছেঁকে নিন। ভিটামিন ক্যাপসুল এর ছাল গুলো ভালভাবে না মিশলে সেগুলো আলাদা করে নিন। ব্যাস আপনার তেল রেডি। ক্যাপসুল এর ছাল গুলো তেলে মিশিয়ে ১-২ দিন রোদ্রে রেখে দিন। তারপর ব্যাবহার করুন।
ব্যাবহার পদ্ধতি:
রাত্রিতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিশ্রন টি ভালো করে চুলের গড়ায় লাগিয়ে নিন। এবং ৮-১০ মিনিট ধরে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। এবং সকালে উঠে কোনো হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন। মিশ্রন টি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যাবহার করুন অবশ্যই ১০০ শতাংশ ভালো ফল পাবেন।
বি: দ্র:
যাদের ঠান্ডা লেগে যায় খুব তাড়াতাড়ি তারা এই মিশ্রন টি রাত্রিতে লাগাবেন না। তারা সকালে লাগিয়ে নিন এবং ৪-৫ ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মহৌষধ টি সম্পূর্ন নিরাপদ এবং কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সকলেই ব্যাবহার করতে পারেন।
Source: Google, Wikipedia, and WHO
==========
Thanks for reading this article. If you have any information related to this article and blog, you can comment or visit the contact us page.
You can also visit the Competitive Exams-related Blog: Learn For Exam
==========
Major thanks for the article post. Really looking forward to reading more. Want more this type post.
No matter if someone searches for his essential thing, thus he/she wants to be available that in detail, so that thing is maintained over here.
Thanks
খুব ভালো লিখেছেন…..many many thanks