ইংরেজি তে যাকে অ্যালার্জি (Allergy) বলা হয় বাংলায় তাকে অতিপ্রতিক্রিয়া (Hyperimmune) বলা হয়। আলার্জি বলতে পরিবেশে অবস্থিত কিছু বস্তুর উপস্থিতিতে কিছু কিছু মানব দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্রের (Immune System) অতিসংবেদনশীলতার (Hypersensitivity) কারণে সৃষ্ট কতগুলি তীব্র বিপরীত প্রতিক্রিয়াকে বোঝায়। এই সব বস্তুগুলি অধিকাংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো সমস্যা তৈরি করে না। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই বিরূপ প্রতিক্রিয়াগুলিকে একত্রে “অতিপ্রতিক্রিয়াজনিত ব্যাধি” বলা হয়। অ্যালার্জি স্বাস্থ্যের একটি সাধারণ সমস্যা। অ্যালার্জির তীব্রতা বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের হয়। অ্যালার্জি সামান্য চুলকানি থেকে অ্যানাফিল্যাক্সিসের মত জীবন বিপন্নকারী পরিস্থিতি হতেও পারে। বেশির ভাগ অ্যালার্জি পুরপুরি ভাবে নিরাময় করা যায় না, তবে উপসর্গগুলির উপশম করতে সাহায্য করার মত কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এবং চিকিৎসা পদ্ধতি আছে।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে এটি একটি বিরল রোগ বলে বিবেচিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে অ্যালার্জি একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য-সমস্যা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। সারা বিশ্ব এর মতো ভারতবর্ষেও অ্যালার্জির প্রভাব ক্রমাগত বাড়ছে। WHO- এর প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে ভারতীয় জনসংখ্যার ৬৭% মানুষ বিভিন্ন রকমের অ্যালার্জির শিকার।
অ্যালার্জি কী? (What is Allergy?)
আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একধরনের ত্রুটি হল অ্যালার্জি। যেখানে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি বা ইমিউন সিস্টেম টি অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাইরের কোন বস্তুর বিরুদ্ধে দেহের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার একটি প্রতিক্রিয়া হল অ্যালার্জি। অন্যান্য মানুষের পক্ষে সেই বহিরাগত বস্তুটি কিন্তু ক্ষতিকর নয়।সমস্ত মানুষের ক্ষেত্রে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জীবাণুর আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি, ক্ষতিকর নয় এমন কোন বাইরের বস্তুর, যাকে এলার্জেন বলা হয়, তার বিরুদ্ধেও অতি-সক্রিয় হয়ে ওঠে। যে সব মানুষদের অ্যালার্জি আছে, তারা একাধিক বস্তুর প্রতি সংবেদনশীল। পরিবেশগত এবং জেনেটিক কারণ উভয়ই অ্যালার্জি রোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যালার্জি কে রোগ ও বলা যায় আবার এক দিক থেকে এটি কোন রোগ নয়।
অ্যালার্জি এর লক্ষণ বা উপসর্গ (Symptoms of Allergy):
সকালে ঘুম থেকে উঠে একের পর এক হাঁচিতে (sneezing) দিন শুরু হয়? অথবা ধূপের গন্ধে, মশলার গন্ধ বা ফুলের গন্ধে (smell) হাঁচি (sneezing) শুরু হয়ে যাচ্ছে? ঘর পরিস্কার করার সময় বা রাস্তার ধুলোয় (dust) হাঁচি (sneezing) শুরু হয়ে যায়? তা ছাড়াও ডিম-বেগুন-চিংড়ি খেলেই গায়ে র্যাশ বা চুলকানি বেরোতে শুরু করে? অথবা কোনও কসমেটিকস লাগালেও র্যাশ বেরিয়ে যায়? নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেন হয়, অ্যালার্জির (Allergy) কথা বলছি।
Read More: Uses of Amoxcillin
আজকাল চারদিকে যা ধুলো-বালি এবং। দূষণ, তা থেকে ছোট- বড়, আমি-আপনি কম বেশি সকলেই অ্যালার্জিতে (Allergy) কাবু। আর যে কোনও মরসুমেই অ্যালার্জি হতে পারে। মরসুম পরিবর্তনের সময় তো বিশেষ ভাবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
বিভিন্ন ধরণের অ্যালার্জি আছে,লক্ষ্মণ উপসর্গগুলি হল যেমন:
১.ধূলা বালি থেকে অ্যালার্জি (Dust Allergy)
- সর্দি
- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা দম বন্ধ বোধ হওয়া
- চোখ লাল হয়ে জল পড়া
- চুলকানি
- নাক দিয়ে জল পড়া
- হাঁচি
২. মরসুম পরিবর্তনের সময় অ্যালার্জি
৩. কড়া কোনও গন্ধে (smell) অ্যালার্জি
৪. প্রসাধনী থেকে অ্যালার্জি
৫. ফুল বা ফুলের গন্ধ (smell) থেকে অ্যালার্জি
৬. অ্যালার্জিক রাইনাইটিস
- সর্দি বা বন্ধ নাক।
- চোখে এবং ত্বকে চুলকানি।
- হাঁচি।
- ক্লান্তি এবং
- নাক বন্ধ থাকার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত জনিত দুর্বলতা।
৭. ত্বকের বা চামড়ার অ্যালার্জি (Skin Allergy)
ত্বক বা চামড়ার অ্যালার্জির সাধারণ উপসর্গগুলি হল লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি এবং ফুলে যাওয়া।
- ছুলি:
ছুলি হলে চামড়া সাদা ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেয়, এবং পরে লাল হয়ে ফুলে যায়। কিছু জায়গা লাল হয়ে বিভিন্ন আয়তনে উঁচু হয়ে যায়। এবং এটি শরীরের যে কোন জায়গায় হতে পারে, তবে শুরুর দিকে গলা বা গালের চামড়া তে দেখা যায়। এই রোগের একটি অবস্থার নাম হল এনজিয়োডিমা, যেখানে ত্বকের নিচের স্তরগুলিও প্রভাবিত হয়। কখনও কখনও এটি যৌনাঙ্গে বা পেটের দিকেও হতে পারে। - একজিমা:
যাদের একজিমা আছে তাদের ত্বক প্রায়ই শুষ্ক কালচে রঙের হয়। চুলকানি হয় এবং ত্বক শক্ত হয়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চুলকাতে গেলে শক্ত ত্বক ফেটে গিয়ে রস বেরোতে থাকে। এতে বোঝা যায় যে সংক্রমণ হয়েছে। বাচ্চাদের মুখে, শরীরের জোড়গুলিতে (কনুই, হাঁটু) বা কানের পিছনে একজিমা হতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রে এই গুলি ছাড়াও হাত এবং পায়ে হতে পারে।
৮. কীট-পতঙ্গ এবং গৃহপালিত পশুর লোম থেকে অ্যালার্জি:
পোষ্য জন্তুর থেকে অ্যালার্জির উপসর্গগুলি ধূলা থেকে অ্যালার্জির মতই অনেকটা। পোষ্য জন্তুর সংস্পর্শে এলে এদের দেখা পাওয়া যায়। কীট-পতঙ্গ থেকে যে অ্যালার্জিগুলি হয়, সেগুলির লক্ষ্মণ গুলি হল:
- মুখ মণ্ডল, ঠোঁট, গলা এবং জিহ্বা ফুলে যায়।
- নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
- যেখান কীট-পতঙ্গ কামড়ায় বা হুল ফোটায় সেখানে চুলকানি, ছুলি এবং অবশেষ ছোট ফোসকা পড়ে যার ভিতরে পুঁজের মতো দেখতে পাওয়া যায়।
- বমি করার প্রবনতা দেখা দেওয়া, বা বমি করা।
- পেটে সংকোচন হওয়া।
৯. খাদ্যের অ্যালার্জি:
খাদ্যের অ্যালার্জি’র লক্ষ্মণ খাবার খাওয়ার ঠিক পরে অথবা কয়েক ঘণ্টা পরেও হতে পারে। এর উপসর্গগুলি হল ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে চুলকানি, বন্ধ নাক, বমির ভাব, বমি করা, সংকোচন এবং উদরাময়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে খাদ্যের অ্যালার্জি থেকে আর একটি গুরুতর রোগ হতে পারে, যার নাম এনাফাইল্যাক্সিস যার উপসর্গগুলি হল:
- দম বন্ধ লাগা।
- জিভ, গলা এবং ঠোঁট ফুলে যাওয়া।
- হাত এবং পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরা।
মোটামুটি এই সব কারণগুলিই অ্যালার্জির জন্য দায়ী। আর অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং অ্যালার্জি (allergy) দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়ও রয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করলে অনেকটাই সুস্থ থাকা যাবে।
অ্যালার্জি এর চিকিৎসা – Treatment of Allergy
অ্যালার্জির চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের ইতিহাস, লক্ষ্মণ এবং কতটা গুরুতর এবং অ্যালার্জির পরীক্ষার ফলাফলের উপরে। চিকিৎসার ধাপগুলি হল:
- এলার্জেনগুলিকে এড়ানো:
অ্যালার্জি এড়ানোর সব চেয়ে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে যে বস্তু থেকে অ্যালার্জি হয় সেগুলিকে যত দূর সম্ভব এড়িয়ে চলা। এতে ওষুধ-পত্র কম লাগে এবং অ্যালার্জি উৎস সরানোর প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত ভাবে জল দিয়ে নাক ঝাড়া বা নাক পরিষ্কার রাখলে বাতাসে বয়ে আনা এলার্জেনগুলিকে এড়িয়ে চলতে পারবেন। - ওষুধ-পত্র:
অ্যালার্জিতে ফুলে যাওয়া কমাতে অ্যালার্জি-বিরোধী ওষুধ ব্যাবহার করা যেতে পারে। যেমন এন্টিহিস্টামাইনস এর সাথে ডিকনজেস্টান্টস খবু ভালো সাহায্য করে। হিস্টামাইন নামক রাসায়নিকটি অ্যালার্জির সময় শরীরে নিঃসৃত হয়। এন্টিহিস্টামাইনস এই নিঃসরণকে বাধা দেয় এবং নাক থেকে জল পড়া এবং বন্ধ নাক থেকে মুক্তি দেয়। নাকের ভিতরে ফুলে যাওয়া পর্দাগুলির ফোলা কমায় ডিকনজেস্টান্টস। ত্বকে ফুসকুড়ি ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার জন্য কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। - ইমিউনোথেরাপি:
কোনও কোনও রোগীর ক্ষেত্রে ইমিউনোথেরাপির পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ধরণের রোগীদের অ্যালার্জি হয় ফুলের পরাগরেনু থেকে, গৃহপালিত পশুর থেকে, এবং কীট-পতঙ্গ থেকে। এই চিকিৎসাই রোগীকে এলার্জেনগুলির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সহ্য করার মত ক্ষমতা তৈরি করা হয়; ফলে উপসর্গগুলি কমতে থাকে। খাদ্য থেকে যে অ্যালার্জিগুলি হয়, ইমিউনোথেরাপি এখনও তাদের প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে, এর কার্যক্ষমতা যাচাই করার জন্য অনেক গবেষণা চলছে দেশ বিদেশের নানা প্রান্তে।
জীবনধারার নিয়ন্ত্রণ:
সঠিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অ্যালার্জিকে এড়িয়ে চলাই সঠিক উপায় এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার। ডাক্তারবাবুর সাথে নিয়মিত পরামর্শ করে চললে অ্যালার্জির অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এলার্জেনগুলিকে এড়িয়ে চললে উৎস কমে গিয়ে অ্যালার্জি কম হবে। যদি কোন রোগীর তীব্র অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে হাতের কাছে এপিনেফ্রিন ইনজেকশান রাখা দরকার। এটি তীব্র অ্যালার্জির একমাত্র চিকিৎসা এবং ডাক্তারবাবুর প্রেসক্রিপশান ছাড়া এটি পাওয়া যায় না। তাছাড়া পাওয়া গেলেও ডাক্তার বাবুর পরামর্শে ব্যাবহার করবেন।
এই ধরণের রোগীদের নিজের সাথে নিজের রোগের বিবরণ সহ পরিচয়-পত্র রাখা উচিৎ। কোন বিশেষ সময়ে তিনি যদি কথাবার্তা নাও বলতে পারেন তবুও যাতে চিকিৎসা পেতে অসুবিধা না হয়।
অ্যালার্জি কে নিজের থেকে দূরে রাখার কিছু ঘরোয়া উপায় বা টোটকা:
১. মাস্ক বা পরিস্কার কাপড়ের ব্যাবহার:
দূষণের মাত্রা তো দিন-দিন বেড়েই চলেছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রয়েছে ধুলো-বালি। এ সব থেকে বাঁচতে যখন বাইরে বেরোবেন, তখন ব্যবহার করুন মাস্ক। বর্তমানে করোনার জন্য যেমন ব্যাবহার করছেন। এ ছাড়াও যখন বাড়িতে যখন ঘর বাড়ি পরিস্কার করবেন, তখনও মাস্ক ব্যবহার করুন। অথবা নাক-মুখ পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো দিয়ে ভাল ভাবে ঢেকে নিন। এতে ধুলো-বালি থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়। আর সাথে সাথে অ্যালার্জির (allergy) ঝুঁকিও কমে যায়।
২. পরিষ্কার জামা-কাপড়:
প্রতিদিন পরিষ্কার করা জামা-কাপড পরলে শুধু অ্যালার্জি না সাথে সমস্ত রোগের প্রবনতা কমে যাবে। কারণ রোজ বাইরে বেরোনোর ফলে জামা-কাপড়ে ধুলো-বালি লাগে। তার ফলে অ্যালার্জির আক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৩. পরিষ্কার বিছানার চাদর:
ভাল করে পরিষ্কার করা বিছানার চাদর ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে ২-৩ দিন অন্তরই বিছানার চাদর বদলান। আর সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ন, বালিশের কভার। আপনি যে বালিশ ব্যবহার করেন, সেই বালিশের কভার ১ দিন অন্তর বদলালেই ভাল হয়। এতে বিছানা-বালিশে ধুলো-বালি থাকার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. বালিশ রোদে দেওয়া:
অনেক সময় বালিশের তুলো থেকেও অ্যালার্জি (Allergy) হয়। তাই নিয়ম করে ৫-৭দিন অন্তর বালিশ রোদে দিতে হবে।
৫. আমলকি ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার:
যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন নিয়ম করে ১ চামচ আপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে ২ চামচ আমলকির রস মিশিয়ে দিনে অন্তত ২ বার খান। দেখবেন, ধীরে ধীরে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। শুধু অ্যালার্জির সমস্যায় নয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
৬. তুলসি পাতা,হলুদ এবং মধু:
আমরা তো ছোটবেলার থেকেই জানি তুলসি পাতার গুনাবলি। তুলসি পাতা তো সর্দি-কাশি কমাতে দারুণ সাহায্য করে। আর নানা রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধও বটে। মধু আর হলুদও তা-ই। ৫-৬টা তুলসি পাতার রসের সঙ্গে কাঁচা হলুদ বাটা ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, ধীরে ধীরে অ্যালার্জির সমস্যা দূরে পালাবে।
৭. পিঁয়াজ, রসুন ও মধু:
অ্যালার্জির দারুণ ওষুধ হল পিঁয়াজ এবং রসুন। তাছাড়া পিঁয়াজ ও রসুন শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর তার সঙ্গে মধু হলে তো কথাই নেই! ১ চামচ পিঁয়াজের রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে রোজ সকালে এবং রাতে খেতে হবে। এছাড়া এক কোয়া রসুন খেতে পারেন সকাল বেলায় খালি পেটে। এক সপ্তাহ খাওয়ার পর নিজেই বুঝতে পারবেন পরিবর্তনটা।
৮. কমলালেবু ও মুসাম্বি:
টক জাতীয় ফল কমলালেবু আর মুসাম্বিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে এন্টিওক্সিডেন্ট। যা শুধু অ্যালার্জির জন্যই নয় শরীরের প্রতিরক্ষার জন্যেও খুবই উপকারী। তাই প্রতিদিন এই দুই লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও অ্যালার্জির আক্রমণ থেকে দূরে থাকা যাবে।
৯. গ্রিন টি ও মধু:
গ্রিন টি তো ওজন কমানোর জন্য এখন সকলেই খান নিশ্চয়ই। কিন্তু এটা কি জানেন? গ্রিন টি-তে রয়েছে প্রচুর এন্টিওক্সিডেন্ট এবং অ্যালার্জি রোধ করার গুণও। গ্রিন টি-র সাথে মধু মিশিয়ে খান। এই হার্বাল টি অ্যালার্জি দূর করতে অত্যন্ত উপকারী।
১০. প্রসাধনী বা কস্মেটিক্স দ্রব্য:
যে সব প্রসাধনী দ্রব্য থেকে অ্যালার্জি হয়, সেই সব প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। নতুন কিছু কেনার আগে অ্যালার্জি টেস্ট করে তবেই কিনুন। আর যাঁদের ধূলা (dust) অ্যালার্জি (Allergy), তাঁরা মুখে পাউডার জাতীয় কিছু ব্যবহার করবেন না।
১১. অ্যানিমাল অ্যালার্জি:
বর্তমান যুগে বাড়িতে কোন কিছু প্রানি পশু পাখি ইত্যাদি রাখার প্রবনতা বাড়ছে। বাড়িতে অনেক সময় পোষ্য আনলে বোঝা যায়, তাদের লোম থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রেই শিশুদের বা ছোটদের এই ধরনের অ্যালার্জি দেখা যায়। লোম থেকে নানা রকম অসুখ, গায়ে র্যাশ বা চুলকানি বেরোনো হতে পারে। তাই পশু-পাখির লোম থেকে অ্যালার্জি হলে তাদের থেকে দূরে থাকুন, এবং বাচ্চাদের দূরে রাখুন।
Source: Google, Wikipedia, and WHO
==========
Thanks for reading this article. If you have any information related to this article and blog, you can comment or visit the contact us page.
You can also visit the Competitive Exams-related Blog: Learn For Exam
==========
check up the good allergies department doctor and don’t worry..
Amar baby 1year 6 manth allergy te hat paa thot fule gacy ki karoniyo
sir,,,amer onk din dore danda,,hasi,,,,,tarpor ves kiso medicine khai,,,tar onk din por Theke amer saskosto dekha dai,,,,tokhon ak dacter dekhai,,,, decter amak monas10,,tofen 2 ta osod likhe dai,,,,ai osod golo 6 mass khai,,,akhon amer mokher jihva sada sada polep pore gese and sot sot gota gota hoise,,,,,akhon amer ki kora uchit
?????? Plz suggests me,,,,🌹🌹🌹🌹
আমার খুব কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি করণীয় এখন
Visit the nearest doctor.