বেশির ভাগ মায়েরই অভিযোগ—বাচ্চা খেতে চায় না। খিদে পায় না, কিছু খেতে ইচ্ছে করে না বা খাবার রুচি (Lack of Appetite in Bengali) নেই। মাঝে মধ্যে আপনার বাচ্চা ছাড়াও বড়োরাও অনেকেই এমন সমস্যার কথা বলেন। অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষুধামন্দার (Anorexia in Bengali) বিষয়ে মা-বাবার উৎকণ্ঠা থাকে। হয়তো শিশু তার রুচি ও পরিমাণ অনুযায়ী ঠিকই খাচ্ছে, কিন্তু মা-বাবা তাতে তৃপ্ত হচ্ছেন না। আপাতত এই ছোট সমস্যাটি হতে পারে বড় মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ (Symptoms of Anorexia in Bengali) । সবাই জানেন, পর্যাপ্ত পর্যাপ্ত পরিমানে খাবারই আমাদের শরীরের চালিকাশক্তি। এবং আমাদের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই খিদে না পাওয়া মানেই শরীর বা মনের মারাত্মক সমস্যা। একেই ক্ষুধামন্দা (Loss of appetite in Bengali) বলা হয়। তাই বিষয়টিকে অবহেলা না করে সঙ্গে সঙ্গে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের (Treatment of Anorexia in Bengali)।
এই খিদে না থাকা বা ক্ষুধামন্দা কে ইংরেজিতে Appetite বা Anorexia বলে। বর্তমানে আমদের দেশে ৫৭ শতাংশ এই রোগে ভুগেন। সাধারন ভাবে দেখলে এটা কোন রোগ মনে না হলেও এই ক্ষুধামন্দার জন্য অনেক মারন রোগের সৃষ্টি হয়।
খিদে না থাকা বা ক্ষুধামন্দা আসলে কি? (Loss of appetite in Bengali or Lack of appetite in Bengali)
এককথায় খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া কে ক্ষুধামন্দা (Loss of appetite in Bengali) বলা হয়। যারা ক্ষুধামন্দা (Lack of appetite in Bengali) তে ভুগছেন তারা খাবার খাওয়ার বহু ঘন্টা পরেও ক্ষুধা অনুভব করতে পারেন না। খাবার খাওয়ার কথা ভেবে দেখলেই আঁতকে ওঠেন অসুস্থ বোধ করেন (Anorexia in Bengali), এবং ক্লান্তি অনুভব করতেও পারেন।
Read More: Uses and Side effects of Amoxicillin
ক্ষুধামন্দার কারন গুলো কি কি? (Loss of appetite in Bengali or Lack of appetite in Bengali)
খিদে পেলেই বুঝতে হবে শরীর কিছু চাইছে। গাড়ি চলতে যেমন জ্বালানি চাই, শরীরেরও তেমনি লাগে রসদ। এ অনুভূতির পেছনে একসঙ্গে কাজ করে মস্তিষ্ক আর পেট। মস্তিষ্ক থেকে সংকেত আসে—খেতে হবে। পেটের নাড়িভুঁড়ি বলে—খেয়ে নাও। পেট ঠান্ডা তো শরীর ঠিক আছে। কাজেই কারও যদি খিদে না লাগে, বুঝতে হবে যে শরীরের কোথাও গড়বড় হয়েছে। এমন অবস্থা ছোট-বড় যে-কারও হতে পারে। জানা যাক, কেন খিদে পায় না।
বিভিন্ন অসুস্থতা জনিত কারনের জন্য ক্ষুধামন্দা (Anorexia in Bengali) দেখা দিতে পারে। হতে পারে মাইগ্রেনের মতো সাধারন সমস্যাও বা ক্যান্সারের মতো চরম অসুখও।
ক্ষুধামন্দার নিম্নলিখিত কারণগুলি হল (Loss of appetite in Bengali or Lack of appetite in Bengali):
১. আচমকা মদ এবং মাদক দ্রব্য ছেড়ে দেওয়া।
২. সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগার ফলে।
৩. কিছু ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার জন্য:
বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাংগাল ও মাংসপেশি শিথিল করার ওষুধে সাধারণত এই ক্ষুধামান্দ্য তৈরি হয়। মানসিক অবসাদ, মাইগ্রেন ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধেও ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিতে পারে।
৪. অত্যাধিক জ্বর:
যখন আপনি অসুস্থ থাকেন, তখন শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধের কাজ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। এ সময় সাইটোকিনস নামের একটি রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত হয়, যা অসুস্থ ব্যক্তিকে দুর্বল করে দেয়। এর কারণেই ক্ষুধামান্দ্য দেখা (Symptoms of Anorexia in Bengali) দেয়। সাধারণ সর্দি-জ্বরেও সাইটোকিনস নিঃসৃত হয়। এ সময় খেতে খুব একটা ইচ্ছে করে না।
৫. গ্যাস্ট্রিক আলসার বা বা পাকস্থলী ক্যান্সার। গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় এবং তার ঘরোয়া প্রতিকার জানতে গ্যাস্ট্রিক আলসার পোস্ট টি দেখুন।
৬. অত্যাধিক মদ্যপান ও ধূমপান।
৭. কিডনি সমস্যায় খাবারে রুচি কমে যায়, দেখা দেয় ক্ষুধামন্দা।
৮. গর্ভাবস্থায় থাকা কালীন বা জন্মনিরোধক বড়ি ব্যবহার।
৯. রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া:
শরীরে যখন পর্যাপ্ত লোহিত রক্তকণিকা তৈরি হয় না, তখনই রক্তাল্পতা দেখা দেয়। লোহিত রক্তকণিকার কাজ হচ্ছে শরীরে অক্সিজেন পরিবহন করা। কারও শরীরে যদি লোহিত রক্তকণিকার অভাব হয়, তবে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হবে। এতে খিদে কমে যায় (Anorexia in Bengali) আশঙ্কাজনক হারে।
১০. ক্লান্তি বা দূর্বলতা।
১১. স্নায়ুর ক্ষতি বা স্নায়ু দূর্বলতা।
১২. হৃদপিণ্ডজনিত সমস্যা।
১৩. মাইগ্রেন বা মাথা ব্যাথার জন্য
কেউ যদি মাইগ্রেনের ব্যথায় আক্রান্ত হন, তবে তাঁর ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিতে পারে। মাইগ্রেনের কারণে বমি বমি ভাবও দেখা দেয়। ব্যথা কমে যাওয়ার পরও অনেক সময় খেতে ইচ্ছে করে না। সাধারণত মাইগ্রেনের ব্যথা কমে যাওয়ার দিন কয়েক পরও ক্ষুধামন্দা (Symptoms of Anorexia in Bengali) থেকে যায়।
১৪. দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসে খাদ্যনালির সংকোচন-প্রসারণ কমে যায় বলে অল্প খেলেই পেট ভরা মনে হয়। একবার খেলে অনেকক্ষণ আর খিদে পায় না। অন্যদিকে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরের অনেক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু ক্ষেত্রে পাকস্থলীর পেশি নিয়ন্ত্রণ করা স্নায়ুরও ক্ষতি হয়। এতে খাবারের পরিপাকে সময় বেশি লাগে। এটিও খিদে কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
১৫. পেটে গ্যাস হলে বা বদহজম হলেও ক্ষুধামন্দা (Anorexia in Bengali) দেখা দিতে পারে।
১৬. থাইরয়েডজনিত সমস্যা:
মানুষের শরীরে খাদ্য কীভাবে শক্তিতে রূপান্তরিত হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করে থাইরয়েড হরমোনগুলো। যখন থাইরয়েড গ্রন্থি প্রচুর পরিমাণে হরমোন তৈরি করতে পারে না, তখন শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম ধীর হয়ে যায়। এর ফলে আপনি কম শক্তি ব্যবহার করেন এবং খিদেও কমে (Symptoms of Anorexia in Bengali) যায়।
১৭. বিভিন্ন অস্ত্রপচারের জন্য।
১৮. উদ্বিগ্নতা, মানসিক অবসাদ এবং মানসিক ধকল:
আপনি যখন মানসিক চাপে থাকেন, তখন আপনার মস্তিষ্কে অ্যাড্রেনালিন সহ নির্দিষ্ট কিছু হরমোন বা রাসায়নিক দ্রব্য নিঃসৃত হয়। এতে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় এবং হজম বা বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এতে ক্ষুধার প্রবৃত্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, ক্ষুধামন্দা (Symptoms of Anorexia in Bengali) দেখা দিতে পারে। তবে এই অবস্থা বেশি সময় থাকে না। মানসিক চাপ দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে কিন্তু আবার উল্টোটা হয়। এ সময় করটিসল নামের একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন উচ্চ ক্যালরির খাবারের প্রতি আগ্রহ তৈরি করে। অন্যদিকে, বিষণ্ণতার কারণে অন্য সবকিছুর মতো খাবারের প্রতিও আগ্রহ কমে যায়।
১৯. ক্যান্সার রোগ:
ক্যান্সার বা কর্কট রোগেও অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ক্ষুধামান্দ্য। ক্যানসারের চিকিৎসা-পদ্ধতিও এর জন্য দায়ী। কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির কারণে শরীরে ব্যথা, বমি বমি ভাবও দেখা দেয়।
২০. ঋতুস্রাবের পূর্বের লক্ষণ ইত্যাদি।
ক্ষুধামন্দার প্রধান প্রধান কিছু লক্ষ্মণ বা উপসর্গ (Symptoms of Anorexia in Bengali) এবং তা থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ।
১. প্রচণ্ড অরুচি, বমিভাব এমনকি পছন্দের খাবারেও অনীহা দেখা দিলে লক্ষ করুন প্রস্রাব ও চোখের রং হলুদ হচ্ছে কি না। এটি ক্ষুধামন্দার সাথে সাথে হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।
২. পাকস্থলীতে প্রদাহ বা জ্বালা একে গ্যাস্ট্রাইটিস বলা হয়। এই সংক্রান্ত পোস্ট টি দেখে নিতে পারেন।
৩. অতিরিক্ত কৃমিসহ মল ত্যাগ।
৪. তলপেটে অথবা পেটের ওপরের অংশে ব্যথা।
৫. অত্যাধিক ক্লান্তি, দূর্বলতা, ঘুমানো।
৬. দ্রুত ওজন কমে যাওয়া।
৭. পুষ্টিহীনতা ।
৮. স্মৃতিভ্রংসতা।
৯. অ্যাসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ ।
১০. খাওয়ার সময় গলাতে চুলকানি ইত্যাদি।
আপনার বাচ্চা ক্ষুধামন্দার শিকার হলে কি করবেন? (Treatment of Anorexia in Bengali):
কিছু কিছু রোগের কারণে শিশুদের রুচি কমে যেতে পারে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অত জটিল কিছু নয়। শিশুর আসলে কোনো রোগ নেই, সমস্যাটা তার মনে বা মানসিক। বয়স অনুযায়ী মানসিক ও শারীরিক বিকাশ অন্য বাচ্চাদের মতো হলে শিশুর খাওয়া নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। শিশুর প্রতি মনোযোগ কমে গেলেও সে খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে পারে। সে যখন দেখে যে ঠিকমতো না খেলে বা খাবার নিয়ে যন্ত্রণা করলে তাকে নিয়ে সবাই অস্থির হয়ে পড়ছে, তখন খাবার নিয়ে বায়না ধরে।
Read More: Treatments of Malaria
খাবার খাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে আচরণগত কিছু পরিবর্তন আনুন-
১. তবে কিছু বাচ্চা আছে যারা, সত্যি সত্যি খায় না। বৃদ্ধিটাও ঠিকমতো হয় না। তাহলে দেখতে হবে যে বাচ্চাটি অপুষ্টির শিকার হচ্ছে কি না বা তার রক্তাল্পতা হয়েছে কি না? না কি বাচ্চার খুব বেশি কোনো সংক্রমণ হচ্ছে, যার জন্য খাওয়ায় রুচি কমে যাচ্ছে। যদি শিশুটির রক্তাল্পতা থাকে, অপুষ্টি থাকে—বাচ্চাটি বসে থাকবে, খুব বেশি সচল থাকবে না। তাহলে এগুলো দেখতে লক্ষ্য করতে হবে। পাশাপাশি কৃমি আছে কি না দেখতে হবে। কিছু বাচ্চার থ্যালাসেমিয়া, অ্যাজমা থাকতে পারে, কিংবা প্রস্রাবে সংক্রমণ থাকে। তখন বাচ্চাটিকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সে যে খায় না, তার কারণ কী খুঁজতে হবে। শুধুই কি ক্ষুধামন্দা নাকি সঙ্গে আর কিছু রয়েছে, সেসব দেখতে হবে। দেখে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা (Treatment of Anorexia in Bengali) করাতে হবে।
একটি গুরুত্বপূর্ন পোস্ট: দেখে নিন কিভাবে ওজন কমাবেন।
২. শিশু যদি খুব অন্যমনস্ক থাকে, তাহলে খিদে নষ্ট (Lack of Appetite in Bengali) হয়ে যায়। ধরুন, আপনার শিশুর বন্ধুরা সবাই বাইরে খেলাধুলা করছে। আর আপনি জোর করে বাড়ির মধ্যে রেখে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন। তাহলে কিন্তু আপনার শিশুটি একেবারেই খেতে চাইবে না।
খাবার নিয়ে জোর করবেন না। শিশুকে নিজের হাতে খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন। খাবার তৈরি, বাজার বা পরিবেশনে সম্ভব হলে তাকে সঙ্গে রাখুন। তার পছন্দমতো মাছ, মাংস বা সবজি কিনুন। এতে খাবারের প্রতি শিশুর আগ্রহ বাড়বে।
৩. খাবার খাওয়ার মধ্যবর্তী সময়গুলোতে শিশুকে অন্যান্য খাবার বেশি দেবেন না। যেমন ভাত খাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে দুধ দেবেন না। শিশুর বিদ্যালয় যদি দুপুর এর দিকে ছুটি হয়, তবে ফিরে এসে তেমন কোনো কিছু না দেওয়াই উচিত। এ ক্ষেত্রে খিদে থাকা অবস্থাতেই ভাত বা মধ্যাহ্নভোজ দিয়ে দেওয়া যায়।
Read More: Haemophilia Treatments
৪. সচরাচর এটাই দেখা গেছে, শিশু যদি একা খায়, তাহলে সে খুব বেশি খেতে চায় না। কিন্তু যদি সপরিবারে বসে একসঙ্গে খায়, তাহলে আপনার শিশুটিও খেতে উৎসাহ পাবে। তাই দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার সবাই একসঙ্গে করুন।
৫. ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠেই খিচুড়ি বা অন্য খাবার না দিয়ে আগে বুকের দুধ দিন। এর দুই-তিন ঘণ্টা পর অন্য খাবার দিন। শিশুকে যখন-তখন চিপস, জুস, চকলেট ইত্যাদি দেওয়া যাবে না, এতে খিদে নষ্ট (Loss of Appetite in Bengali) হয়।
৬. শিশুকে এক খাবার প্রতিদিন দেবেন না। যেমন রোজ ডিম সেদ্ধ না দিয়ে ডিমের তৈরি অন্য জিনিস দিতে পারেন। দুধের ক্ষেত্রেও তাই;, সেমাই বা পায়েসে প্রচুর দুধ থাকে, সেটাই দিন। ফল খেতে না চাইলে কাস্টার্ড করে দিন।
৭. অনেক সময় খাবার পরিবেশনেও ভিন্নতা আনলে কাজ হয়। রঙিন পাত্রে খাবার পরিবেশন করুন। টেবিলকে করুন সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
৮. সন্তান ঠিকমতো বেড়ে উঠছে কি না, তাও নজরে রাখতে হবে। যদি দেখা যায় যে বাচ্চা সমবয়সীদের মতোই বাড়ছে, ওজনও ঠিক আছে। তাহলে বুঝতে হবে তার শরীরে পুষ্টির কোনো ঘাটতি নেই, অর্থাৎ আপনার শিশুর খাওয়াদাওয়া স্বাভাবিকই আছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায়, বাচ্চার ওজন বয়সের তুলনায় বেশি অথচ মা-বাবার অভিযোগ—শিশুটি একদমই খায় না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মা-বাবাকে বুঝতে হবে যে শিশু যদি ঠিকঠাক না খেত, তাহলে তার ওজন বেশি হতো না। আর এরপর যদি জোর করে শিশুটিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে তা শিশুটির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যদি দেখা যায় যে বাচ্চা ঠিকঠাক বাড়ছে না। বয়সের তুলনায় ওজন অনেক কম অথবা ওজন বয়সের তুলনায় অনেক বেশি। তাহলে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ (Treatment of Anorexia in Bengali) নেওয়া উচিত।
৯. টিভি দেখা বা মোবাইলে কার্টুন দেখানো কমিয়ে পর্যাপ্ত খেলার ব্যবস্থা করুন। মোবাইল একেবারেই দিবেন না, এতে খিদে বাড়বে।
ক্ষুধামন্দার চিকিৎসা বা ঘরোয়া টোটকা (Treatment of Anorexia in Bengali):
প্রাথমিকভাবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে ক্ষুধামন্দার (Treatment of Anorexia in Bengali) সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে, যেমন-
১. রুচি বাড়াতে ফল ও ফলের জুস খেতে পারেন। আমলকি, কিশমিশ, মিষ্টি, আচার, সালাদ, পেঁয়াজ ইত্যাদি খেলেও উপকার মিলবে।
২. খাবার খাওয়ার আগে হালকা হাঁটাহাঁটি করুন, এতে খাওয়ার চাহিদা বাড়বে।
৩. পাকা টমেটো দুপুরে ভাত খাওয়ার আগে, এবং রাতে শোয়ার আগে গ্রহণ করলে ক্ষুধামন্দা (Lack of Appetite in Bengali) দূর হতে পারে। এছাড়া স্যালাড হিসেবেও ব্যাবহার করতে পারেন।
৪. প্রতিদিন দুপুরের খাবার আগে সামান্য লবণ দিয়ে একটু আদা চিবিয়ে খেলে মুখের রুচি ফিরে আসবে।
৫. গোলমরিচের গুঁড়ো, খাঁটি মধু ও কয়েক ফোঁটা আদার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও ক্ষুধামন্দা দূর হয়।
৬. হালকা গরম জলে ভেজানো তেঁতুলের পাতলা রস চিনি মিশিয়ে খেলেও ক্ষুধা বৃদ্ধি পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৭. পুষ্টিকর খাবার ও পুষ্টিকর পানীয় জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।
৮. এছাড়া টক জাতীয় খাবার বেশি পরিমানে গ্রহন করুন, এতে খাবার খাওয়ার চাহিদা বাড়বে। এবং ক্ষুধামন্দা (Loss of Appetite in Bengali) কেটে যাবে।
Source: Google, Wikipedia, and WHO
==========
Thanks for reading this article. If you have any information related to this article and blog, you can comment or visit the contact us page.
You can also visit the Competitive Exams-related Blog: Learn For Exam
==========
Loss of anergy and loss of appetite.
Age 22years.w 45kg.H 5fit 2inchhi.Sex F.
Loss of appititi.loss of anergy.
I do not understand what you mean, please say a little better?